চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৩এপ্রিল অনুষ্টিত হচ্ছে নির্বাচন। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্মকর্তারা ততৃীয় ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দিয়েছেন। ইউনিয়নে এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। তারমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ২ জন, বিএনপির ১জন, জাতীয় পাটির (এরশাদ) ১ জন, জাতীয় পাটি (মঞ্জু)’র ১জন সহ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রায় ৯জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে রয়েছেন। এ ইউনিয়নে দলীয় পরিচয় উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শামিল হয়েছেন অন্তত আরো ৪ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান । এছাড়া রয়েছে ১জন বিত্তশালী প্রভাবশালী প্রার্থী। মুলত ভোটের মাঠে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও বিপুল অর্থ বিত্তের কাছে আওয়ামীলীগ-বিএনপির প্রার্থী এবারের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বলতে গেলে স্বতন্ত্র এ হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী দীর্ঘদিনের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে পারলে ভোটের মাঠে হিসাব পাল্টাতে সক্ষম হবেন। এই তালিকায় আছেন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান, আলহাজ জয়নাল আবেদিন।
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান (আনারস), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী জয়নাল আবেদিন ( ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত কামাল জিকু (অটোরিক্সা), মাইন উদ্দিন (রজনীগন্ধা) ও কুতুব উদ্দিন ( টেলিফোন)।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাহাদুর হককে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড ও জেলা আওয়ামীলীগের কাছে নানা তদবির চালিয়ে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে বর্তমানে এ ইউনিয়নেই দলীয় সিদ্বান্ত অমান্য করে দলের এক নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এ কারনে নির্বাচনে নৌকা নিশ্চিত বিজয় নিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের চরম আশঙ্কায় রয়েছেন।
২০১১ সালে অনুষ্টিত নির্বাচনে খুটাখালী ইউনিয়নে জামায়াত প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবারই প্রথম স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড ও জেলা আওয়ামীলীগের কাছে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে বর্তমানে আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদিন চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এতে করে দলীয় প্রার্থী নিশ্চিত বিজয় নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে আওয়ামীলীগ।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বাহাদুর হক । কিন্তু দলের এই সিদ্বান্ত অমান্য করে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বর্তমানে ভোটের মাঠে নেমেছেন সাবেক কক্সবাজার কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ জয়নাল আবেদিন।
কথা বলে জানা গেছে, খুটাখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়া হলেও দলের নীতি নির্ধারক মহলের অদুর্শিতা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনীহার কারনে সহযোগি সংগঠনের তরুন নেতাকে প্রার্থী করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ উঠেছে, ইউনিয়নে দলের বেশি জনপ্রিয় ও বর্তমান কয়েকজন পাশ কাটিয়ে বিএনপির স্থানীয় নীতিনির্ধারক মহল সেখানে নতুন প্রার্থী দিয়েছেন। এ কারনে এবার ইউনিয়নে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থী সহজে ধরাশয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। তারমধ্যে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান কিছুটা অগ্রগামী হলেও এখনো জনসর্মথন ভাগে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন।
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া খুটাখালী ইউনিয়নে প্রার্থী আনিসুর রহমান বলেন, চারদলীয় জোট সরকার আমলে অভুতপৃুর্ব উন্নয়নের কারনে চকরিয়া উপজেলার মাটি ও মানুষের সাথে এখনো বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমদের আত্মার সর্ম্পক রয়েছে। নির্বাচন শান্তিপুর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষভাবে হলে এখানে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
পাঠকের মতামত: